গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে : তদন্তে পুলিশ

18th August 2021 5:42 pm বাঁকুড়া
গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে : তদন্তে পুলিশ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  গেলিয়া গ্রামে গলায় দড়ি দিয়ে টাঙ্গিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির শাশুড়ি শ্বশুর ও যায়ের বিরুদ্ধে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ায় । মৃত ওই গৃহবধূর নাম বিপাশা পাল বয়স আনুমানিক  ২৪ বছর বিপাশা পালের, স্বামী চন্দন পাল কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বিপাশা পাল এর বিয়ে হয়েছিল চার বছর এবং দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিপাশা পালের বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ তাকে বাড়িতে খেতে দেয়া হতো না এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো হত ইতিপূর্বে বারেবারে বিপাশা তার বাপের বাড়ির লোককে নির্যাতনের কথা জানান তাদের বাপের বাড়ির লোকেরা ভয়ে আসতে পারতো না বিপাশার শ্বশুরবাড়িতে এলেও বাড়ির থেকে খাবার নিয়ে আসতে হতো । বিপাশা যে মারা গেছে সেই খবরও বাপের বাড়ির লোককে জানানো পর্যন্ত হয়নি। এই দুঃসংবাদ প্রতিবেশীরা প্রথমে জানান। পরিবারের তরফ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন অভিযুক্তদের । বিপাশার পরিবারে ও গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া । এরপর ঘটনার খবর দেয়া হয় জয়পুর থানায় জয়পুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।